আকাশ রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৪ নং রাজাগাঁও ইউনিয়নের আসান নগর গ্রামের ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্রের বিরুদ্ধে পার্শ্বের ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়নের সর্দার পাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের মেয়ে এক সন্তানের জননীকে (২২) চিকিৎসার নামে বাড়িতে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে রুহিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে ।

ভুক্তভোগী মহিলা বলেন, আমার চিকিৎসার জন্য ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র আমাকে তার বাড়িতে থাকতে বললে আমার বাবা একদিন তার বাড়িতে থাকার জন্য বলেন সেই রাতে ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র ও তার স্ত্রীর সহায়তায় আমাকে রাতে ধর্ষণ করে এবং আমি কাউকে বললে নাকি আমার সমস্যা হবে এভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

 

ভুক্তভোগী মহিলার পিতা আনিসুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে এক সন্তানের জননী কিছু দিন আগে তার একটু শারিরীক অসুস্থ্য হওয়ায় আমি পাটিয়াডাঙ্গী বাজারে একজন কে ঋষি কবিরাজের খোঁজ করলে তিনি একজনকে দেখিয়ে দেন তারপর আমি সেই লোকের কাছে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ঋষি কবিরাজ বলে পরিচয় দেন। পরে তিনি আমার বাসায় গিয়ে ঝাড়ফুঁক করে এবং আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে।

কয়েক কিস্তিতে ১৭ হাজার টাকা দিয়েছি তারপর ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র আমাকে বলে আপনার মেয়েকে আমার বাড়িতে দুই দিন থাকতে হবে কারণ আমি রাতে পূজা পানি করি এজন্যই রাতে আমার বাড়িতে থাকতে হবে। সেই কথা শুনে আমি রাজি হয়ে গত তিন দিন আগে আমার মেয়েকে তার বাড়িতে একদিন রাখি পরের দিন আমার মেয়ে আমার মেয়ে আমাকে ধর্ষণের বিষয় জানায়।

তিনি আরও বলেন, ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র আমার মেয়েকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে যদি কাউকে বলে তাহলে নাকি মেয়েকে বান মারবে আর কোন দিন কথা বলতে পারবে না। তাই বুধবার দুপুরে ভন্ড তান্ত্রিকের বাড়িতে আসলে স্থানীয় লোকজন বলেন প্রভাত চন্দ্র আসলেই কোন কবিরাজ নয়।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, স্থানীয় লোকজন আমাকে ফোন করে জানান যে এলাকার প্রভাত চন্দ্র ভন্ড তান্ত্রিক হিসেবে একজন মহিলাকে রাতভর ধর্ষণ করে এবং সেই মহিলার পিতা বিচারের জন্য প্রভাত চন্দ্রর বাড়িতে আসলে অভিযুক্ত প্রভাত চন্দ্র পালিয়ে যায় পরে আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে রুহিয়া থানায় যাওয়ার জন্য বলেন।

১৪ নং রাজাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম সরকার বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ লোকজন ঐ মহিলা এবং তার বাবাকে নিয়ে পরিষদে আসলে আমি তাদেরকে রুহিয়া থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি তদন্ত) শহিদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী মহিলার পিতা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত প্রভাত চন্দ্রকে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। যার মামলা নং ০৫- ২২/০৬/২২ এবং তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।